1. towkir.skit@gmail.com : admin :
  2. towkir29@gmail.com : adminrafiq :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
Title :
তিতাস উপজেলায় কালাচানকান্দি পাখিদের অভয়ারণ্য স্থান পরিদর্শন করেন ইউএনও মহোদয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারি আটক দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান পোরশা সীমান্তে মালিক বিহীন ভারতীয় মহিষ আটক গেটে ঝুলে রহস্যময় এক তালা: শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের অনিয়িচ্তা শ্রমিকের মুখে ক্ষোভ ৩নং বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি সুমন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাব্বি দুর্নীতিমুক্ত বাগমারা গড়তে বিএনপির মনোনয়ন চান সাবেক এমপি পুত্র ফারাবী গাইবান্ধার প্রতিবন্ধী হিরু মিয়ার অদম্য জীবনযুদ্ধ দেবিদ্বারে জমে উঠেছে হাসনাত আবদুল্লাহর উঠান রাজনীতি।

গাইবান্ধার প্রতিবন্ধী হিরু মিয়ার অদম্য জীবনযুদ্ধ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৬ Time View

মোঃ মিঠু মিয়া
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে কুমুদ এলাকায় বসবাসরত মোঃ হিরু মিয়া জীবনের তীব্র বাস্তবতার সঙ্গে প্রতিদিন যুদ্ধ করে চলেছেন। জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই মানুষটি নিজের ভাগ্যের সঙ্গে লড়াই করে আরবি পড়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। জীবনের কষ্টকে সঙ্গী করেও তিনি সমাজে টিকে থাকার এক বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

ছোটবেলা থেকেই হাঁটাচলায় অসুবিধা থাকায় হিরু মিয়া নিয়মিত স্কুলে যেতে পারেননি। তবে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গভীর আগ্রহ থেকেই তিনি স্থানীয় মাদ্রাসা ও মসজিদে আরবি শিক্ষা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি গ্রামের শিশুদের আরবি শেখান এবং ধর্মীয় শিক্ষা দেন। সেই উপার্জনই তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন।

অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল পরিবারে জন্ম নেওয়া হিরু মিয়া বলেন,

ছোটবেলায় ভেবেছিলাম আমার কিছুই হবে না, কিন্তু আল্লাহর রহমতে এখন মানুষ আমাকে শ্রদ্ধা করে। আমি নিজের পরিশ্রমে যা পাই, তা দিয়েই সংসার চালাই। শুধু চাই, সমাজ ও সরকার যেন আমাদের মতো মানুষের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়।”

গ্রামবাসীর ভাষায়, হিরু মিয়া একজন পরিশ্রমী, সৎ ও ধৈর্যশীল মানুষ। প্রতিবন্ধকতাকে কখনও দুর্বলতা হিসেবে দেখেননি তিনি। বরং নিজের সীমাবদ্ধতাকে শক্তিতে রূপান্তর করে জীবনকে এগিয়ে নিয়েছেন। প্রতিদিন গ্রামের শিশুদের কুরআন শিক্ষা দিয়ে সামান্য যা আয় হয়, তা দিয়েই পরিবারের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন।

স্থানীয়দের দাবি, এমন পরিশ্রমী মানুষ সরকারের বা কোনো বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা পেলে তার জীবন আরও উন্নত হতে পারবে। সমাজের অনেক সক্ষম ব্যক্তি যদি হিরু মিয়ার পাশে দাঁড়ান, তবে তিনি নিজের জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবেন।

হিরু মিয়া বলেন,
আমি কারো কাছে ভিক্ষা চাই না। শুধু চাই, কাজের সুযোগ পাই, যেন নিজের পরিশ্রমেই পরিবার চালাতে পারি।

দরিদ্রতা, প্রতিবন্ধকতা ও নানা প্রতিকূলতার মাঝেও হিরু মিয়া আশার আলো হারাননি। নিজের আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন ইচ্ছা থাকলে শারীরিক সীমাবদ্ধতা কখনো জীবনের পথে বাধা হতে পারে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 somoyermullo
Developed By : Bongosoft.org