
সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট, রাজশাহী।
রাজশাহীর বাঘা বাজারে সু-কৌশলে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এর আগে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা তা এখন সকলের প্রশ্ন। এ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাজ ব্যবসায়ীদের। তারা এখন আতঙ্কিত।
জানা যায়, ১০ নভেম্বর রাত্রি আনুমানিক ৩ টার দিকে বাঘা বাজারে মুদি দোকান” মনির এন্ড ব্রাদার্স ” এ অভিনব কায়দায় সু-কৌশলে চুরির ঘটনা ঘটে । সি সি ফুটেজ এ দেখা যায় ক্যামেরার সামনে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে আড়াল করে দোকানের তালা নকল চাবি দিয়ে খুলে মালামাল নিয়ে আবার তালা লাগিয়ে চলে যাচ্ছে। সি সি ফুটেজ এবং বাজার কমিটির তৎপরতায় জানা যায় চুরির ঘটনার সাথে বাজারের নৈশপ্রহরীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পরবর্তীতে বাজার কমিটি তাদের জিজ্ঞসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে যে তারা নিজেরাই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
বাঘা বাজারের নৈশ প্রহরীর কমান্ডার তাহাজ্জত আলী (৬০), আব্দুল মান্নান (৫৫), মোকলেস আলী (৪০), মাজেত আলী (৪৫) সহ মোট ৫ জন কে বাজার কমিটি উপস্থিত সকলের সামনে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে দোকান মালিক মনির হোসেন বলেন ,প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। পরের দিন সকালে দোকান খুলে দেখি সিগারেট, সুপারি, এলাচ ও জিরাসহ বেশ কিছু পণ্য নেই। ক্ষতির পরিমাণ বিষয় এ তিনি জানান প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা করছি লাখখানেক। তবে বেশিও হতে পারে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানা তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা নিরুপায় ছিলাম, সঠিক প্রমাণ না থাকায়। দোকানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল থাকে এর মধ্যে থেকে চাবি দিয়ে চালা খুলে নিয়ে আবার তালা লাগিয়ে দিলে বুঝার উপায় থাকে না।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, গতকাল এই চুরি সংক্রান্ত মামলা হওয়ার পর থেকে আমরা বিভিন্ন সি সি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও বাজারের দোকানদারদের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করি। রাতে তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আসামি তাহাজ্জতের বাড়ি থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার করি। এছাড়াও এ চুরির ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে নাকি তার তদন্ত চলমান রয়েছে। সেই সাথে সকল অপরাধ মূলক কাজের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।