বিশেষ প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনে এবার ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে পারেন সাবেক যুবদল নেতা ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন। জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে মনোনয়নের তালিকায় সবুজ সংকেত পাওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছে তার নাম।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে তৃণমূলে যার জনপ্রিয়তা রয়েছে। যার দ্বারা সাধারন মানুষের উন্নয়ন সম্ভব। যার সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। যিনি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করেন। যিনি পুরো এলাকার খোঁজখবর রাখেন সর্বদাই। সেই সাথে মানুষের বিপদে যিনি এগিয়ে যান। অর্থাৎ কর্মী বান্ধব নেতাকেই এবার প্রাধান্য দেয়া হবে।
সেদিক থেকেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ সৌজন্য, উন্নয়নমুখী চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড তাকে এলাকায় জনপ্রিয় অধ্যাপক কামাল হোসেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তার সক্রিয়তা এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তাকে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।
অধ্যাপক কামাল হোসেনের জনপ্রিয়তা ও সক্রিয়তা এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে অধ্যাপক কামাল হোসেনের প্রচার প্রচারণা ততোই জোরদার হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন ও জনগণের সমর্থন পেলে তিনি বাগমারার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।
উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি পথসভা, গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করে চলেছেন। সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা জুড়ে লিফলেট বিতরণ করছেন অধ্যাপক কামাল হোসেন।
অধ্যাপক কামাল হোসেন বাগমারার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার স্থানীয় বিএনপি অসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক এবং সরাসরি যোগাযোগ দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, তাঁর মতো পরিচ্ছন্ন, জনবান্ধব ও ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দিলে বাগমারার উন্নয়ন হবে দৃশ্যমান এবং দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি প্রতিষ্ঠা পাবে।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামাল হোসেন জানান, বিএনপির রাজনীতি ও জনগণের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমার লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণ। আমি বিশ্বাস করি দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগণের ভোটে বিজয়ী হব, ইনশাআল্লাহ।