আল রোকন
রিপোর্টার কুমিল্লা
ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল রাতেই র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা ও বুড়িচং থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার মো. জুলহাসের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২৮), মুন্সিগঞ্জ সদর থানার মুরমা গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন শেখের ছেলে মো.আল আমিন ওরফে লিপু (৩৬) এবং বরিশালের উজিরপুর থানার মালিকান্দা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে মো.সজীব হাওলাদার (২৬)।
নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম জয় চন্দ্র সরকার (৩০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার শীতলপুর গ্রামের বিষ্ণু চন্দ্র সরকারের ছেলে। বর্তমানে জয় বুড়িচং উপজেলার সাহেববাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে ভাঙারির ব্যবসা করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক ব্যক্তি প্রথমে জয় নামের ওই যুবকের দিকে প্রথমে একটি কুকুর লেলিয়ে দেন। এ সময় চিৎকার করে ওই যুবক নিজেকে বাঁচানোর আকুতি জানান। তিনি কুকুরকে বাধা দিলে ওই ব্যক্তিরা তাঁকে বারবার বলতে থাকে, ‘কুকুর ছাড়’। এরপরই আরেকটিসহ মোট দুটি কুকুর জয়ের ওপর লেলিয়ে দেওয়া হয়। কুকুরগুলো হিংস্রভাবে তাঁর শরীরে কামড়াতে থাকে। একই সময়ে কয়েকজন লাঠি হাতে তাঁকে আঘাত করতে থাকেন। কুকুরের কামড় ও লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জয় বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তাঁকে কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে জানান, সম্প্রতি সাকুরা স্টিল মিলে ডাকাতির একটি ঘটনা ঘটেছিল। এরপর থেকেই নিরাপত্তাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় জয় মিলের ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে আটক করে নিরাপত্তাকর্মীরা মারধর ও কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন চালায়।
তিনি আরও জানান, জয় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী, ঘটনাস্থলের বাইরে তার ভ্যান পাওয়া গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো অপরাধের তথ্য পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসা দিয়ে পরে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে।