সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট, রাজশাহী
রাজশাহীর বাঘায় মর্মান্তিক চাঞ্চল্যে সৃষ্টিকারী সৎ ভাইকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামী কামাল হোসেন @ কামাল ডাকাত (৫০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
মঙ্গলবার ( ১০ জুন) রাত্রি আনুমানিক ১২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫। গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আরিফপুর গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ(দুখু মন্ডল) এর ছেলে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত ভিকটিম ছাদেক আলী (৪৫) ও বিবাদী কামাল সম্পর্কে সৎ ভাই। পারিবারিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। ভিকটিম ছাদেক পেশায় একজন ছাগল ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ইং- ১৩/০৫/২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৫.০০ ঘটিকার সময় নিহত ছাদেক ব্যবসার কাজে চন্ডীপুর বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে তার বাড়িতে আসতে দেরি হলে ভিকটিম মোবাইলে বিবাদী কামাল এর বাড়িতে আছে বলে তার স্ত্রী কে জানায়। পরবর্তীতে গত ১৪ মে ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম ছাদেক এর লাশ বাঘার বাজুবাঘা ইউনিয়নের একটি আম বাগানে পাওয়া যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৩ মে ২০২৫ তারিখ আনুমানিক-২২.২৫ ঘটিকা হতে ২৩.৪০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে উপরোক্ত বিবাদী কামাল পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নিহত ভিকটিম
ছাদেক’কে পরিকল্পিতভাবে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত যখম করে হত্যা করে লাশ উক্ত স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও দেশব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়।উক্ত ঘটনায় বাঘা থানায় নিহত ভিকটিম এর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত্রি আনুমানিক ১২ টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন পলাশবাড়ী নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার
এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী কামাল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।উক্ত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ছিনতাইকারী এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।