রাজশাহীতে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও প্রচারের প্রতিবাদে নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুমাইয়ার সংবাদ সম্মেলন।
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর ও অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক বলে অপপ্রচার চালিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় স্থানী একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৮ ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া।
তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৮ ব্যাচের আইন বিভাগের ছাত্রী, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গোটা দেশবাসিকে জানাতে যাচ্ছি, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার এবং নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর স্যারের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপপ্রচার চালিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এ ধরনের অসত্য, বিকৃত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভিডিও’র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে প্রায় দেড় বছর আগে আনিস, শুভসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ভিডিও ধারণ করে। তারা পুরো ভিডিও না প্রকাশ করে কপিকাট করে ভিডিওটিকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করে আমাদের মানহানি করার চেষ্টা করছে। এতে করে এলাকাবাসি ও আমার বন্ধু বান্ধবের সামনে আমার মুখ দেখাতে পারছিনা। আমাকে সাংবাদিক পরিচয়ে আমার মুঠো ফোনে অনেকেই ফোন দিচ্ছে। যার কারনে আমার পরিবারে নেমে এসেছে অশান্তি।
আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের শেয়ারহোল্ডার। আমার প্রক্টর স্যারের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তারা আমার প্রতিষ্ঠানের শরনাপন্ন হন। ডাক্তার দেখানো শেষে, স্যারের পরিবারের সাথে আমার পূর্ব পরিচিতি ও সুসম্পর্কের কারণে আমি তাদের সাথেই বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় আনিস ও শুভদের সাথে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ থাকায় তারা আমাকে অনুসরণ করে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন ঘটনা ঘটায়। একটি সিংক্রেট করে আমার সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করা হয়। অথচ এখানে পরকীয়ার কোনো সত্যতা নেই। কারন আনিস বিবাহিত ও ১ বাচ্চার বাবা বরং ঘটনাটিকে বিকৃতভাবে পরকীয়া বলে চালিয়ে আমার ও প্রক্টর স্যারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া, স্যারের বাসায় আমাকে রাখার প্রসঙ্গ উঠেছিল কারণ ওই সময় আনিস সহ ওর সহকর্মীরা আমাকে জোর করে তাদের সাথে নিয়ে যেতে চাইছিল, যা আমার জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই আমি স্যারের পরিবারসহ সেখানে অবস্থান করি। অথচ এই প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং তা রাহাত নামের ছেলে করেছে। যাহার নেতৃত্বে দিয়েছেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিঠুন নামের এক ছেলে৷ আমি তা গোপন সূত্রে জানতে পারি এবং তার সত্যতাও আছে আমার কাছে। শুধু আমি নয় আমি ব্যতিত আরো দুইটি মেয়ের ছবি নিয়ে রাহাত এই সব নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপে ছাড়ে। রাহাত মূলত নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
আমি এবং আমার স্যারের বিরুদ্ধে ছড়ানো এই অপপ্রচার নিছক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া।