1. towkir.skit@gmail.com : admin :
  2. towkir29@gmail.com : adminrafiq :
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
Title :
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিষিদ্ধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল জাতীয় ঔষধ বিক্রয় বন্ধে টাস্কফোর্স এর অভিযান গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থককে অপহরণ, চাঁদাদাবীর অভিযোগ কুমিল্লা – সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা মোটরসাইকেল আরোহী নিহত রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জয় গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় সফল ও লাভজনক খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার দেবীদ্বারে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক গাইবান্ধায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের দাবীতে মানববন্ধন কুমিল্লা দাউদকান্দি আলোচিত মামুন সম্রাট হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো গাইবান্ধা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা

সার সংকটে দিশেহারা গোমস্তাপুরের আমন ধান চাষিরা:জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে পড়েছেন গভীর দুশ্চিন্তায়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৭ Time View

মোঃ রনি রজব ভোলাহাট উপজেলা (প্রতিনিধি)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার সাধারণ কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষ করে কাঙ্ক্ষিত রাসায়নিক সার না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তারা কী করবেন, কিভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন—তা বুঝে উঠতে পারছেন না। কারো নিজের জমি, কেউ নিয়েছেন বর্গা, কেউবা করছেন তেভাগা ভিত্তিতে—প্রতিটা ক্ষেত্রেই ধানের ফলন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার কৃষকরা অভিযোগ করছেন, সার সংগ্রহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও মিলছে না নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিয়া, টিএসপি কিংবা ডিএপি। ফলে ধানের সঠিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল গফুর বলেন,
“ভোরে এসে সার ডিলারের লাইনে দাঁড়িয়েছি, দুপুর গড়িয়ে গেছে, এখনো বলা হচ্ছে—‘স্টক শেষ’। এইভাবে আমরা কীভাবে চাষ করবো?”

বর্গাচাষি রহিম উদ্দিন জানান,
“জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছি। টাকা ধার করে বীজ ও সেচ করেছি। এখন যদি সারের অভাবে ফলন না হয়, তাহলে দেনা শোধ করবো কীভাবে?”

তেভাগা ভিত্তিতে চাষ করা আরেক কৃষক কালাম শেখ বলেন,
“মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে ধান ফলাতে নেমেছি। এখন সার না পেলে তো ধানই হবে না। আমি কী ভাগ দিবো আর কী রাখবো?”

এরই মধ্যে অনেক ধান চাষী অভিযোগ করেছে বাগান ও পুকুরে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে সার সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে এগুলো তারা কৃষি অফিসের তদারকির জন্য দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও জানা যায় অনেক কৃষক বিঘা প্রতি এক বস্তা করে সার জমিতে ব্যবহার করছে, যেখানে কৃষি অফিসের ভাষ্যমতে বিঘা প্রতি ২০- ২৫ কেজি সার এক বিঘা জমির চাষাবাদের জন্য যথেষ্ট কিন্তু এই মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার কারণে অনেকাংশে সারের সংকট হয়ে উঠছে।

আবার অনেক কৃষক অভিযোগ করেছে যে বরাদ্দ আসে, তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিন্তু কিছু অসাধু লোক এই সুযোগে সার কালোবাজারে তুলছে, এটা সত্যি। প্রশাসন কঠোর হলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হতে পারে।”

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন,
“আমরা সার বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।আমারা বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করে কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। তবে রাসায়নিক সারের ঘাটতি মেটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সারের সংকট কেটে যাবে।

ভবিষ্যৎ শঙ্কা সচেতন মহলের অনেকে বলছেন, ধান উৎপাদনের মৌসুমে সার সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে এর প্রভাব শুধু কৃষকের ওপর নয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রান্তিক কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণি।

গোমস্তাপুরের কৃষকরা আজ শুধুই ধান নয়, ভবিষ্যৎ জীবনধারণের জন্য লড়ছেন। সরকার যদি সময়মতো পর্যাপ্ত সার সরবরাহ এবং কালোবাজার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও কৃষকের জীবিকা—দুটোই চরম হুমকির মুখে পড়বে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 somoyermullo
Developed By : Bongosoft.org