এম এইচ কামাল বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি
গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) পৌর এলাকার চৌমাথা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ের সামনে সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাকেরগঞ্জ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে ‘সাংবাদিক সুরক্ষা’ আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যাকারী এবং তাদের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায় বক্তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাকেরগঞ্জ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম উপজেলা শাখার সভাপতি মো. জিয়াউল হক, সহ-সভাপতি দৈনিক মহাকাল নিউজ পোর্টালের সম্পাদক আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশ, সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি তুহিন সিকদার, সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি জাকির জমাদ্দার।
মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি আহমেদ কাওছার ক্ষৌণিশ বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাইতে হবে কেনো? বিচারের জন্য মানববন্ধন কিংবা প্রতিবাদ সমাবেশের প্রয়োজন কি? এসব প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, এগুলো প্রমাণ করে- ‘নিশ্চিত বিচারহীনতায় ভুগছি আমরা। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না।’
এ সময়ের আরো উপস্থিত থাকেন এটিএন বাংলার শামিম আহম্মেদ, মাই টিভির মিজানুর রহমান, মোহনা টিভির শাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক কালবেলার উত্তম দাস, মাইনুল ইসলাম সকালের সময়, কামাল মৃধা মানব কণ্ঠ, জহিরুল হক এশিয়ান টেলিভিশন, আবেদ ইসলাম আশিক তালাশ বিডি, শফিক খান প্রতিদিনের কাগজ, মো: সানি সত্য সংবাদ, আরিফুর রহমান জাকির দৈনিক দক্ষিণবঙ্গ স্টাফ রিপোর্টার, রবিউল ইসলাম দৈনিক বর্তমান, আরেফিন ফিরোজ বিজয় টিভির ক্যামেরাম্যান।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগউৎকণ্ঠা প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠের জিয়াউল হক ও দৈনিক ইত্তেফাকের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অবিলম্বে ‘সাংবাদিক সুরক্ষা’ আইন প্রণয়ন করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’