বগুড়ার শিবগঞ্জে ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পবিত্র ঈদে গাদীর ও ঈদে মোবাহেলা উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার রাতে সাইয়্যেদুশ শোহাদা হোসাইনীয়া (মোহাম্মদপুর) হরিপুরে আল-হাদী আল-নাজিব ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় এ ঈদ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মন্ডল। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম মোজাফফর হোসাইন, হুজ্জাতুল ইসলাম শরিফুল ইসলাম, প্রভাষক শাহিনুর রহমান, হুজ্জাতুল ইসলাম ওবায়দুল হাসান, হুজ্জাতুল ইসলাম মাহদী হাসানসহ ৩শতাধীক শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ঈদ অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতায় আলী হোসেন ১ম, রেজা হোসাইন ২য় ও রবিউল ইসলাম-৩য় স্থান অধিকার করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন বিদায় হজ্ব সমাপ্ত করে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন পথে ১৮ জিলহজ তারিখে খুমের জলাশয়ের কাছাকাছি হলে কোরআনের সর্বশেষ আয়াতের ঠিক আগের আয়াতটি নাজিল হয়। আয়াতে বলা হয়, হে রাসূল (সাঃ) যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা পৌঁছে দাও, আর যদি তুমি তা না কর, তবে তুমি তার কোন বার্তাই পৌঁছাওনি; এবং আল্লাহ তোমাকে মানুষের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন; এবং নিশ্চয় আল্লাহ অবিশ্বাসী সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না (সুরা মায়েদা আয়াত নং ৬৭)। মহানবী (সা.) গাদীরে খুমে যাত্রা বিরতি করে লোকদের সামনে ঐতিহাসিক বক্তব্য প্রদান করেন এবং হযরত আলী (আ.)-কে তাঁর পরে মুসলমানদের মাওলা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অপর আয়াত নাযিল হয়। ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট হলাম’। গাদীরে খুমে নাযিলকৃত দুটি আয়াত থেকে আমরা এই ঘটনার অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি। বিশ্বাসীগণের ‘মাওলা’ হিসেবে রাসূলে পাক (সা.) তার স্থলাভিষিক্ত করে হজরত আলী (আঃ) কে ইমামত ও খেলাফতের প্রতি বায়াত গ্রহণ করান। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, মুসলমানদের মোবাহেলা বিতর্ক অনুষ্ঠান স্মরণের দিন। এই দিনে নজরান শহরের কিছু খ্রিস্টান পণ্ডিত ইসলামের নবী মুহাম্মদের সংগে বিতর্ক করে। বিতর্কের বিষয় ইসলামের সত্যতা। উভয় পক্ষে যুক্তি তর্ক চলতে থাকে। মদিনার বাইরে একটি মাঠে তর্ক অনুষ্ঠান চলতে থাকে। খ্রিষ্টান প্রধান ও পণ্ডিতগণ পদ অনুযায়ী একপাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যপাশে আলী, ফাতেমা, হাসান এবং হোসাইন একত্রে দাঁড়িয়ে আছেন। খ্রিস্টানগণ তর্কে হেরে গিয়ে জিজিয়া কর দিতে সম্মত হন। মুহাম্মদে পক্ষে আলী খ্রিস্টানদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তিতে সই করেন।