সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে চাঞ্চল্যকর রকি হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী রবিউল‘কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
গত শনিবার (১৭ মে) বিকাল ৫ টায় ঢাকা জেলার ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫।
গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার আসামী রবিউল ইসলাম অরফে রুবেল (৩৫) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আচুয়াভাটা গ্রামের মৃত তাহসান মহুরীর ছেলে। গ্রেফতার কালে তার কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত হিসেবে মোবাইল-০১টি, সীম-০১টি, নগদ-৭০০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত ভিকটিম কাউসার আহমেদ রকি (২৫) পেশায় একজন অটো চালক। গত ০১-০৪-২০২৫ তারিখ গোদাগাড়ী থানাধীন আচুয়াভাটা গ্রামস্থ নিজ পিতার বাড়িতে অসুস্থ দাদিকে দেখতে গেলে আসামী মোঃ রবিউল ইসলাম অরফে রুবেল (৩৫) এর পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধৃত আসামী তার বাড়ি হতে ধারালো হাসুয়া নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভিকটিমের ডান পায়ের উরুতে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমের চিৎকারে আসামী দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত নারকীয় ঘটনা ও হত্যাকান্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। এই ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় নিহত ভিকটিম এর মাতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। আসামী সুকৌশলে নিজেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে রাখে।
আসামীকে গ্রেফতারে র্যাব-৫, সিপিএসসির একটি চৌকষ আভিযানিক দল প্রতিনিয়ত আসামীর গতিবিধি অনুসরণ ও বিশ্লেষণ করে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচন মূলে অদ্য ১৭/০৫/২০২৫ তারিখ আনুমানিক- ১৭.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামীকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন হয়েছে।
উল্লেখ্য: র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ছিনতাইকারী এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।