ইলিয়াছ আহমেদ নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে নিচ্ছে ঘরবাড়ি, বসতভিটা ও কৃষিজমি। বিশেষ করে চরএলাহী ইউনিয়নের ৩,৫,৬ ও ,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডে নদী ভাঙনের তীব্রতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত একর আবাদি জমি এবং বহু ঘরবাড়ি।
স্থানীয়রা জানায়, গত এক মাস ধরে মেঘনার ঢেউ আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও শস্যভরা মাঠ। ইতোমধ্যে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ নিজের বসতভিটা ও গৃহ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কেউবা আশ্রয় নিচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।
চরএলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন মাহবুব বলেন, “আমার ৩ বিঘা ধানক্ষেত গত সপ্তাহেই মেঘনার পেটে চলে গেছে। এখন ঘরবাড়িও হুমকির মুখে। সরকার যদি দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমাদের কিছুই থাকবে না।”
একই ওয়ার্ডের নারী কৃষক সেলিনা বেগম বলেন, “নারীরা এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাবে, সেই চিন্তায় অস্থির। নদী যত এগোচ্ছে, নিরাপদ স্থানের দূরত্ব ততই কমে আসছে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, বিষয়টি একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও এখনও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ফেলার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
চরএলাহী ইউনিয়ন যুব দল সভাপতি প্রার্থী ছেরাজুল হক বাবুল বলেন “ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার দাবি জানাচ্ছি। না হলে অচিরেই শত শত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।”
অন্যদিকে, পরিবেশবিদরা বলছেন, সময় থাকতেই নদী ভাঙনরোধে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলীয় এলাকায় টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, এই অঞ্চলের মানচিত্রই বদলে যেতে পারে।