মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মায়ের
চিকিৎসা করাতে এসে ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসা না দেয়াসহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হওয়ার
অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজন। এ ব্যাপারে ২৮ মে বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ভালাইন গ্রামের
মৃত আয়ের উদ্দীনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মে
মঙ্গলবার সকালে দেলোয়ার হোসেন তার স্ত্রী, বোনকে সাথে নিয়ে অসুস্থ মা মোছা: রাশেদা
বেওয়াকে (৬০) পেটের পীড়া জণিত সমস্যার কারণে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করান। সেখানে ভর্তি করানোর পর ডাক্তার তার মায়ের কিছু পরীক্ষা নিরাীক্ষা করানোর কথা
বলেন। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেলোয়ার তার মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাফী করানোর জন্য ওই
হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফী রুমে যান। সেখানে তখনো ডাক্তার না আসায় বেলা সাড়ে
১১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাক্তার এসে
আল্ট্রাসনোগ্রাফী করা শুরু করেন। কিন্তু সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও দেলোয়ারের মা
রাশেদা বেগমের আল্ট্রাসনোগ্রাফী না করে পরে আসা অন্যন্য রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাফী
করতে থাকেন ডাঃ সবুর। এ সময় দেলোয়ার হাসপাতালের স্টাফদের নিকট তার মায়ের পরীক্ষা-নীরিক্ষা
আগে করে দেয়ার অনুরোধ জানান। এতে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেওয়ান আব্দুস সবুর ক্ষিপ্ত হয়ে
রোগীর ছেলে দেলোয়ারের উপর আক্রমণ করে বলে, তুই কে? তোর মায়ের পরীক্ষা করব না, তুই কি
করবি কর? আমরা আমাদের ইচ্ছামত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। এ সময় দেলোয়ারের সাথে
থাকা তার স্ত্রী ও বোন ডাক্তার আব্দুস সবুরকে থামাতে গেলে ডাঃ সবুর তাদেরকেও ধাক্কা দেয়।
বিষয়টি তৎক্ষণাত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মোবাইলে জানালে তিনি
ডাঃ সবুরকে ডেকে নিয়ে রোগীর স্বজনদের নিকট সরি বলতে বলেন। কিন্তু ডাঃ সবুর সরি বলতে
পারবেন না বলে সেখান থেকে চলে যান। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেলোয়ারের মায়ের চিকিৎসা
করবেন না বলে অন্যত্র রেফার্ড করে একটি ছাড়পত্র দেন। এ ব্যাপারে ডাক্তার দেওয়ান আব্দুস সবুরের
মুঠোফোনে কল দিলে তিনি এ ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. খুরশিদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত
করে বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।