মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে
প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বারবাকপুর গ্রামের মৃত
আফজাল হেসেনের ছেলে শাহজাহান আলী বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে ১৪ জনকে আসামী করে
থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার বিকেলে উপজেলার বারবাকপুর
মন্ডলবাড়ি জামে মসজিদের সামনে। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতেই সোহেল রানাকে
গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গত রবিবার বিকেলে
পূর্ব শত্রæতার জেরে বারবাকপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে সোহেল রানা, মৃত আব্দুল
আজিজের ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে ফেকু, মৃত পান মোহাম্মদের পাঁচ ছেলে যথাক্রমে ওয়াহেদ
আলী , শামসুল আলম, আব্দুস সামাদ, আজাহার আলী ও ওবাইদুল হক, শামসুল হকের ছেলে
রোম্মান হোসেন, মৃত আঃ জব্বারের ছেলে সারোয়ার হোসেন নান্টু, সারোয়ার হোসেন
নান্টুর ছেলে সিজার হোসেন, আব্দুস সালামের ছেলে আবু সাইদ, মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী
রেখা বানু, আব্দুস সামাদের স্ত্রী দেলোয়ারা, আজাহার আলীর স্ত্রী নাসরিন বেগম দেশীয়
অস্ত্রশস্ত্র বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া রামদা সহ বারবাকপুর মন্ডলবাড়ি জামে মসজিদের
সামনে শাহজাহান আলীর পথরোধ করে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে তার স্ত্রী
জহুরা বেগম, তার ভাইয়ের স্ত্রী শাহিনা আক্তার, বৃদ্ধ চাচা আব্দুল মান্নান, ছেলে সারাব
হোসেন, আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাসরিন আরা ছেলে আব্দুর রউফ এগিয়ে এলে আসামীরা
তাদেরকেও এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। এ সময় আসামীরা জহুরা বেগম ও শাহিনা আক্তারের
পড়নের কাপড় টেনে হিঁচড়ে ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আসামীদের ধারালো অস্ত্রের
আঘাতে শাহজাহান আলী, জহুরা বেগম, সারাব হোসেন ও শাহিনা বেগমের মাথা কেটে
রক্তাত্বজখম হন। বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানের পা ভেঙে যায় ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম, ছেলে আব্দুর রউফ
গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে
দেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃদ্ধ আব্দুল মান্নানকে ঢাকায় এবং জহুরা বেগমকে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহীন রেজা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে ওইদিনই পুলিশ অভিযান
চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অন্য
আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।