বাগমারা প্রতিনিধি
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ১নং নম্বর গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রশিদ এর একটি পত্রিক জমি যা মাড়িয়া মোড়ে অবস্থিত তা তার ভাতিজা মো: আসাদ, আসাদের মেয়ের জামাই মো: মিজান (হাট গাঙ্গোপাড়া বাসিন্দা) এবং মোঃ আশরাফুল, পিতা- মোঃ এরশাদ মাস্টার, গ্রাম বাড়িগ্রাম অদ্য ১৫.৮.২৫ তারিখে জোরপূর্বক জবরদখল করে।
উক্ত জমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ তার বড় ভাই আব্দুল হাকিম এর সম্মতিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ২০০৮ সালে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে।
আব্দুর রশিদ ২০০৮ সাল হতে দীর্ঘদিন ধরে এই জমিটি ভোগ দখল করে আসছেন। ইতিপূর্বে কেউ কোনো প্রকার বাধা প্রদান করেনি।
কিন্তু গত সপ্তাহে ওই জমিতে প্রাচীর দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করলে, আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ আসাদ ও তার মেয়ের জামাই মো: মিজান (হাট গাঙ্গো পাড়ার বাসিন্দা) এবং মোঃ আশরাফুল বিএনপির এবং বিএনপির বিভিন্ন নেতার নাম ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক আব্দুর রশিদ কে ভয় ভিতি দেখান এবং মিস্ত্রিকে ভয় ভিতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এমনকি আজ (১৫.৮.২৫)জমিতে জোরপূর্বক জবরদখল চালায়।
ইতিপূর্বেও মোঃ আসাদ এবং তার মেয়ের জামাই মো: মিজান মুক্তিযোদ্ধাও শিক্ষক আব্দুর রশিদ এর আরো একটি জমিতে জোরপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টা করলে আব্দুর রশিদ বাগমারা থানার শরণাপন্ন হলে, বাগমারা থানার পরামর্শে রাজশাহী কোটে মুক্তিযোদ্ধা এবং শিক্ষক আব্দুর রশিদ একটি সাধারণ অভিযোগনামা পেশ করেন, যার ফলে মোঃ আসাদ কোর্টের সামনে গিয়ে মুচলেকা স্বরুপ অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছিল যে অন্যায় ভাবে পরবর্তীতে কখনো আব্দুর রশিদ এর কোন জমিতে জোরপূর্বক জবরদখল করবে না।
বিএনপি এবং বিএনপি’র বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মোঃ আসাদ, তার মেয়ের জামাই মো: মিজান এবং মোঃ আশরাফুল এর এরূপ অন্যায় অবিচারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক আব্দুর রশিদ সহ তার পরিবার অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এবং ব্যথিত হয়ে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।