সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট, রাজশাহী
রাজশাহীর বাঘায় ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলার ১ নং আসামী ইউসুফ (২৪) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (১১ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে র্যাব-৫ ও র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানীর দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন রূপপুর মোড় গোল চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ ইউসুফ (২৪) রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পীরগাছা এলাকার মৃত সান্টুর ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, মামলার ভিকটিম একজন বিবাহিত এক সন্তানের জননী। মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামী ইউসুফ এর সাথে চার বছর সংসার করার পর ভিকটিম তালাকপ্রাপ্ত হয়। তালাক হওয়ার পর ভিকটিম বাঘা থানাধীন মহিলা বাণিজ্যিক স্কুল এন্ড কলেজে দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১/০৭/২০১৫ ইং তারিখে দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকায় ভিকটিম স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন আরিফপুর গ্রামস্থ জনৈক হাফিজুল এর বসতবাড়ির সামনে পাকা
রাস্তার উপর হইতে আসামি ইউসুফ সহ ৪/৫ জন মিলে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। ভিকটিম চিৎকার শুরু করলে আসামিরা ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে এলোপ্যাথারি চর থাপ্পর মারতে থাকে। এক পর্যায়ে মাইক্রোটি রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন রুস্তমপুর গ্রামস্থ নানার মোড়ে পৌঁছালে ভিকটিম সেখান থেকে কৌশলে বেরিয়ে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তির বাসায় প্রবেশ করে। ইতিমধ্য আসামিরাও ভিকটিমের পিছে পিছে উক্ত বাসায় গিয়ে ভিকটিমের হাত ধরে নিয়ে আসতে ধরলে বাড়ির মালিক পপি বেগম সহ অনেক লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা সেখান থেকে ভিকটিমকে হুমকি ধামকি প্রদান করে চলে যায়। উক্ত ঘটনায়
এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যাহা রাজশাহী জেলার বাঘা থানার মামলা নং-২১, তাং-২৭/০৭/২৫ ইং, ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০২০ এর ৭/৩০ তৎসহ ৩২৩/৩৭৯ /৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
এদিকে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ধৃত আসামীকে অপহরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে রাজশাহী জেলার বাঘা থানার অপহরণ মামলা মূলে হস্তান্তর করা হইয়াছে ।