রাজু আহমেদ স্টাফ রিপোর্ট
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না পুকুর খনন।বাগমারা এলাকা জুড়ে অসংখ্য নতুন-পুরাতন পুকুর খনন করছে এবং মাটি বিক্রয় করেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।প্রসাশনের চোখ ফাকি দিয়ে তারা দিনে ও রাতে মাটি খনন করে তা বিক্রি করছে। বাগমারা উপজেলার বিশেষ করে, আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা গ্রাম,বইকুরী, রক্ষিতপাড়া বিল,গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি,গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ের,বানইল,শান্তিপাড়া,হাতরুম,জিল্লুর মোড়,রামপুর,সহ পশ্চিম বাগমায়ায় অসংখ্য পুকুট খনন করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নরদাশ ইউনিয়নের গোড়সার গ্রামে দিনের বেলায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই পুকুর খননের মুলহোতা গোড়সার গ্রামের আব্দুল সাত্তার এর ছেলে কথিত বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন রতন(৩৮)খালেক দেওয়ানের ছেলে বাবু দেওয়ান(৪০) সেকেন্দার প্রামানিক এর ছেলে সাইদুর রহমান, ও একই গ্রামের আক্কাছ প্রামানিক এর ছেলে সাজ্জাদ(৩০) তারা জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন। এই চক্রটি গোড়সার গ্রামের মৃত আবুল কালাম এর ছেলে এস এম মুক্তা সরদারের(৩৫) নিজ জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করছে।
এ বিষয়ে এস এম মুক্তা সরদার জানান,আমার নিজ জমি উপরের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জোরপূর্বক দখল করে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি রাজশাহীর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছি। যাহার মামলা নাম্বার ৮৮/২১। আমার জমিতে অবৈধ ভাবে রাতে পুকুর খনন করছে। আমার জমিতে কেউ যেন জোরপূর্বক পুকুর খনন না করতে পারে সেজন্য আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রয় করার ব্যপারে উপজেলা প্রশাসন বলছে, পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিছু যায়গায় রাতের বেলায় পুকুর খনন করা হচ্ছে সেখানেও অভিযান পরিচালনা করে ভেকু মেশিন অকেজো করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে কেউ পুকুর খনন করে মাটি ব্যবসা করে রাস্তার ক্ষতি করতে পারবেনা।
এ বিষয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বলেন, আমি খবর পাওয়া মাত্রই সেই ভেকু মেশিনটি বন্ধ করে দিয়েছি।যদি তারা রাতেও পুকুর খনন করে সেটাও বন্ধ করা হবে।যেহতু জমির উপরে মামলা আছে ও সেটি অবৈধ ভাবে খনন করা হচ্ছে।