বরিশালের বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের কটুয়াজুড়ি নামে একটি খালের উপর একাধিক বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছিলেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। তবে বাঁধ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে প্রভাবশালীদের বাঁধার মুখে ব্যর্থ হয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
প্রভাবশালী কিছু ঘের মালিকদের অশুভ তৎপরতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও পুলিশের সহযোগিতায় এ খাল দখলমুক্তের চেষ্টা করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের কটুয়াজুড়ি খালে কয়েক বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী সেলিম কাজী, লিখন কাজী ও জাকির কাজী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। তাদেরকে মাছ চাষ ও খালটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিগত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। তার নির্দেশে তারা খালের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সাধারণ কৃষক বিপাকে পরে। গত ২৯ জুন জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসন ও খালের বাঁধের মুখ উন্মুক্ত করার দাবিতে শতশত গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনের পর এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ, কৃষি কর্মকর্তা সুমিত কুমার সাহা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয়দের খাল দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতা রবিবার সকালে খাল দখলমুক্ত করতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম পৌঁছে খালের বাঁধ কেটে দিয়ে দখলমুক্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় সেলিম কাজী, লিখন কাজীসহ স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয় খালের বাঁধ কেটে দখলমুক্ত করতে।
এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনার স্যারের নির্দেশে বেকু দিয়ে বাঁধ কেটে খাল দখল মুক্ত করতে গিয়েছিলাম। একটি বাঁধের কয়েক ফুট পেরেছি। স্থানীয় একটি চক্রের বাঁধায় ওখানে মার্ডার হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ফিরে এসেছি।