পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি
নওগাঁর পোরশায় ৪৫ বিঘা ওয়াকফ জমির বোরো ধানে কীটনাশক প্রয়োগে করে ক্ষতি সাধনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার উপজেলার আল জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ্ মাদ্রাসার (পোরশা বড় মাদ্রাসা) অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পোরশার আজিজ মোহাম্মদ শাহ্ ষ্টেটের (ইসি নং-১৩৩১) এর ওয়াকফ মোতয়াল্লী নজরুল ইসলাম (নজু শাহ্) চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৯২১ইং সালের একটি দলিল মূলে ও জেএল নং-২১২ ও সিএস ৮০নং খতিয়ানে উপজেলার সুহাতী মৌজায় ১৪২.২৩ একর ওয়াকফ জমি রয়েছে। ১৯২১সাল থেকে ওয়াকফ ষ্টেটের দায়িতপ্রাপ্ত মোতয়াল্লীগণ পর্যায়ক্রমে জমিগুলো দেখভাল করে আসছেন। দলিলের শর্তমোতাবেক জমিগুলো থেকে উৎপাদিত ফসল বিক্রি হতে আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজে ব্যয়ের জন্য বিতরণ করা হয়। প্রতিবছরের মত এবারেও জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২৬ মার্চ রাতে সকলের অজান্তে সুহাতী মৌজায় ৪৫ বিঘা জমিতে রোপণ করা বোরো ধানে বিষাক্ত কীটনাশন স্প্রে করে ধানগুলো নষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে জমির বর্গাচাষী ও ওয়াকফ ষ্টেট কতৃপক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এব্যাপারে ২০জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৬ সালে সুকৌশলে আসাদ সাহ আরএস খতিয়ানে তার নাম বসিয়ে জমি তার নিজ নামে করেন। সে সময় বিষয়টি গোপন রাখলেও তার মৃত্যুর পরে তা প্রকাশ পেলে জমিগুলো তার ওয়ারিশগণ তাদের নিজের সম্পত্তি বলে দাবী করে আসছেন। ইতোমধ্যে তারা ওয়াকফ ষ্টেটের পক্ষে আরএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করেছেন। মামলা চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আল জামি’আতুল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ্ মাদ্রাসার মহাপরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল্লাহ শাহ্ চৌধুরী, শিক্ষক মাওলানা মুফতি হারুন আর রশিদ, মাওলানা আব্দুর রহিম শাহ্, মাওলানা মোকসেদ আলী সহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে আসাদ সাহ এর ওয়ারিশ গণের মধ্যে তার ছেলে তৈয়ব শাহ্ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বরং আরএস খতিয়ান মূলে জমি তাদের বলে তিনি দাবি করেন।