বগুড়ার শিবগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিকদের অসামাজিক কাজে বাঁধা দেয়ায় তবিবর রহমান নামে এক ব্যক্তি হামলার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের লক্ষীকোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন তবিবর রহমানের ছেলে আবু সুফিয়ান।
তবিবর রহমান উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের লক্ষীকোলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, লক্ষীকোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মইনুল ইসলাম ও খালেদা বেগমের দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেম চলছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় তারা রাস্তাঘাটে অসামাজিকভাবে চলাচল করতে থাকে। এসময় তবিবর রহমান মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির পাশে রাস্তায় মইনুল ও খালেদা অসামাজিকভাবে চলাচল করলে তবিবর তাদেরকে সামাজিকতা বজায় রেখে চলাচল করতে বলেন। তখন তবিবরের সাথে মইনুলের কথার কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে তবিবর মসজিদে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে জাহিদুল ইসলামের বাড়ির কাছে পৌছালে মইনুল তার সঙ্গীয় দলবল নিয়ে তবিবরকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে। এসময় তাদের হাতে থাকা লোহার রোড ও বাঁশের লাঠির আঘাতে তবিবর গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে নুয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহত তবিবরকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অভিযুক্তরা হলেন, লক্ষীকোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ ছাহেদ আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম (৩৭), আতাউল প্রাং (৪৫), তাজুল প্রাং (৩৮), খালেক মিয়ার কন্যা খালেদা বেগম (৩৩) ও মোশারফ হোসেনের ছেলে মিলন প্রাং (২৭)।