1. towkir.skit@gmail.com : admin :
  2. towkir29@gmail.com : adminrafiq :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন
Title :
পোরশায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির সুফলভোগীদের মাঝে ছাগী বিতরণ বাঘায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তা সংস্কারে ছাত্রদল নেতা শামিম সরকার কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জন নিহত রহনপুরে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তিতাস উপজেলায় কালাচানকান্দি পাখিদের অভয়ারণ্য স্থান পরিদর্শন করেন ইউএনও মহোদয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারি আটক দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান পোরশা সীমান্তে মালিক বিহীন ভারতীয় মহিষ আটক গেটে ঝুলে রহস্যময় এক তালা: শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের অনিয়িচ্তা শ্রমিকের মুখে ক্ষোভ ৩নং বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় অসহায় দুই শিক্ষার্থীকে ইউএনও’র আর্থিক সহায়তা প্রদান

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ Time View

মর্তুজা শাহাদত সাধন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে প্রীতম ও প্রিয়সী নামের দুই অসহায় শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল হাসান। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে ওই দুই শিক্ষার্থীর হাতে ১৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই দুই শিক্ষার্থীর চাচা পলাশ চন্দ্র প্রামানিক ও উপজেলা পরিষদের সিএ আনছার আলী।

মা হারা ১১ বছরের ৭ম শ্রেণির ছাত্র প্রীতম ও ৭ বছরের ২য় শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়সী কম বুদ্ধিসম্পন্ন ডাবলু প্রামাণিকের সন্তান ও উপজেলার কুজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

চেক পেয়ে খুশি দুই শিশুর চোখেমুখে ছিল এক বিশাল স্বপ্ন। তারা আনন্দের সাথে বললেন, আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই।

ইউএনও রাকিবুল হাসান তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দুই ভাই বোন পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। আর এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে যে কোনো বিষয়ে আমাকে জানাবে। আমি সবসময় তোমাদের পাশে আছি। তোমাদের জন্য দোয়া রইল।

উল্লেখ যে, ছোট্ট দুই শিক্ষার্থীর মা পূর্ণিমা চিকিৎসার অভাবে গত ১১ এপ্রিল নিজ বাড়িতে মারা গেছে। বাবা থেকেও নেই। মাকে হারিয়ে পৃথিবীটা যেন একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে তাদের জন্য। মৃত্যুর একদিন আগেও প্রীতম ও প্রিয়সীর মায়ের ইচ্ছে ছিল তার দুই সন্তানকে পড়াশোনা করানোর। তার স্বপ্ন যেন থমকে যেতে বসেছে। এখনই হাত পেতে কিনতে হচ্ছে ছেলের গাইড বই। তবে মৃত বৌদির (ভাবির) স্বপ্ন পূরণের আশায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেবর পলাশ চন্দ্র প্রামাণিক।

মাকে হারিয়েও থামেনি ছোট্ট দুই শিশুর স্বপ্ন। সকালে পুরোনো ব্যাগ কাঁধে তুলে নিয়ে তারা স্কুলে যায়। অন্যদের মতো নতুন পোশাক, দামি খাতা কলম নেই। অনেক সময় না খেয়েই ক্লাস করতে হয়। তবুও স্কুলে গিয়ে পড়তে চায়, বন্ধুদের মতো স্বপ্ন দেখতে চায় প্রিতম-প্রেয়সী। তাদের একমাত্র ভরসা কাকা পলাশ, যিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করেও চাকরির পিছনে না ছুটে গ্রামে গ্রামে সিঙ্গাড়া বিক্রি করে কোনোমতে সংসার চালান। ছোট্ট দুই ভাই-বোনকে আগলে রেখেছেন মায়ের মতো করে। কিন্তু এই লড়াইয়ে কাকা পলাশ একা। অভাবের ঘূর্ণিপাকে হয়তো যেকোনো সময় থেমে যেতে পারে প্রীতম আর প্রিয়সীর স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন। সমাজের এগিয়ে আসা ছাড়া হয়তো স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে, ঝরে যাবে নিমিষেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 somoyermullo
Developed By : Bongosoft.org