মোঃ আল আমিন
জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা।
কুমিল্লা দেবিদ্বারের জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছে করে যাচ্ছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কেন্দ্রীয় রাজনীতির চেয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার দিকে বেশি মনোযোগী। এলাকার মানুষের মাঝে গণজাগরণ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তিনি। চালিয়ে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক। আগামী নির্বাচন ঘিরে তরুণ এ নেতার উঠান বৈঠকে দলে দলে যোগদান করছে হাজারো জনতা।
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে, ৩ অক্টোবর শুক্রবার দেবিদ্বার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনব্যাপী গণসংযোগ করেন এসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ফজর নামাজ পড়ে তিনি গণসংযোগে নেমে পড়েন। ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় প্রতিটি মানুষের নিকট পৌঁছে দেন এনসিটির বার্তা। খুব কাছ থেকে শুনেন মানুষের সুখ দুঃখের গল্প , আওয়ামী জাহিলিয়াতের অত্যাচার ও সীমাহীন দুর্নীতির কথা। হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
পরে বিকেলে খলিলপুর শরু মিয়ার বাড়িতে এবং সন্ধ্যায় ফতেহাবাদ মান্নান মাস্টারের বাড়িতে পৃথক দুটি উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
উঠান বৈঠকে বক্তৃতায় তিনি বলেন, এনসিপির মূল লক্ষ্য হলো, নেতা এবং জনতা থাকবে একসারিতে। কেউ যেন নির্বাচনে পাস করার পর মনিব হয়ে দানবীয় আচরণ না করতে পারে সেজন্য এনসিপি থাকবে আপনাদের পাশে । এনসিপি এখন একটি নিবন্ধিত দল। কিন্তু আমাদের দলীয় মার্কা শাপলা নিয়ে তালবাহানা করছে নির্বাচন কমিশন। কেন দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা দেওয়া হবে না, এটারও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা তারা দিচ্ছে না। তাদের এইহীন আচরণ আমাদেরকে, আওয়ামী স্বৈরাচারের দুর্নীতির কথাই মনে করিয়ে দেয়।
তাই আমরা বলতে চাই, আমাদের একটি যুদ্ধে সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
আমাদের আরও একটি যুদ্ধ প্রয়োজন, সে যুদ্ধে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করব সকল দুর্নীতিবাজদের।
সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা হলেন মনিব আর নেতারা হলো গোলাম। সুতরাং নির্বাচন আসলে ৫০০/১০০০ হাজার টাকা খেয়ে নিজেরা গোলাম হয়ে যাইয়েন না। নেতা নির্বাচনে আপনারা যে একদিনের ক্ষমতার মালিক হন, সেই ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে পরবর্তী পাঁচ বছর সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন। আপনারা নির্বাচনে খাবেন কিছু টাকা আর নেতারা খেয়ে ফেলবে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট। আপনাদের আচরণই বলে দেবে আপনারা কেমন নেতা চান। সুতরাং আগামী নির্বাচনে যদি কোন নেতা টাকা নিয়ে ভোট কিনতে আসে, তাকে, বেধে পুলিশে দিয়ে দিবেন। তাদেরকে লাল কার্ড দেখিয়ে নদীর দক্ষিণ পাড়ে পাঠিয়ে দিবেন।
এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে বলেন, এলাকার উন্নয়ন করতে গেলে, এমপি হওয়া লাগে না, ভালো মন-মানসিকতা থাকলে যেকোনো সময়ই করা যায়। আপনারা অনেকে অবগত আছেন যে, দেবিদ্বারের উন্নয়নের জন্য ৩৩৮ কোটি টাকার একটি বরাদ্দ পাশ হয়েছে। আজকে এখানকার রাস্তাঘাটের যা অবস্থা দেখলাম, আমার মনে হয় শুধু রাস্তা সংস্কারের জন্যই ১২শ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। শুরুটা যেহেতু করা সম্ভব হয়েছে আস্তে, আস্তে সবই হবে। তবে সকলেই যার, যার অবস্থান থেকে কোন প্রকার দুর্নীতি করা যাবে না। এনসিপি সর্বদাই দুর্নীতির বিরুদ্ধচারণ করে।
সুতরাং যারা দল হিসেবে এনসিপিকে ভালোবাসেন, আমি হাসনাত আব্দুল্লাহকে ভালোবাসেন, দুর্নীতি করবেন না এই শপথ নিয়ে আজকে থেকে কাজ করা শুরু করেন।