আল রোকন
রিপোর্টার কুমিল্লা
নাম না জানা ভাইটি প্রায় দুই মাস যাবৎ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পড়ে আছে, ময়লা পোশাক, ৫/৬ টি শার্ট গায়ে জড়িয়ে চলাফেরা আর ডাস্টবিনের ময়লার স্তূপের খাদ্যে অভ্যাস্ত,ভালো খাবার কেউ দিলে মায়াবী চাহনিতে তাকিয়ে সানন্দে গ্রহন করে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের নজরে পড়লো আগন্তুকের চেহারা, হাতের কব্জিতে লোহার চুড়ি, আঙ্গুলগুলোতে হরেকরকমের আংটিতে পচনধরায় পুঁজ বেরুচ্ছিল।
কোন হাসপাতাল আংটি অপসারণের দায়িত্ব নেয়নি,কেননা পাগলের হাতটা ধরাই ছিল ভীষণ কষ্টের!
তবুও মানবতাবাদী ভাইদের প্রাণপণ চেষ্টায় স্বর্ণকার এনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনজেকশনের মাধ্যমে অবশ করার পর হাতের কব্জিতে থাকা লোহার চুড়ি এবং আংটিগুলো কেটে কেটে বের করার পর সবার চোখ কপালে।
আর কদিন পরেই হয়তো পঁচে যেত আঙুল, হাত।
হয়তোবা এভাবেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তো।
গৌরীপুরের মেডিনোভা হসপিটালের পরিচালক ইব্রাহিম সরকার রাসেল,ম্যানেজার আবিদ ভাই এবং স্বেচ্ছাসেবী আশিক,দ্বীন ইসলাম ও মাহমুদ গোসল দিয়ে তাঁকে আধুনিক করার প্রচেষ্টা,
চুলগুলো কেটে গোসল দিয়ে নতুন জামা,টাউজারে পুরাই চেহারা পাল্টিয়ে দিলো ভাইগুলো।
বলতে পারছেন না বাবা-ভাইয়ের নাম কিংবা গ্রামের নাম।
শুধু এটুকুই বলতে পারেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালি বাড়ী।
সবাই শেয়ারের মাধ্যমে তাঁর অভিভাবকদের খুঁজে পেতে সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন; এমনটাই আশাবাদী করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।