1. towkir.skit@gmail.com : admin :
  2. towkir29@gmail.com : adminrafiq :
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
Title :
মহাদেবপুরে উৎসব মূখর পরিবেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব পালিত কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়ের হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে পোরশায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্য, অসুস্থ-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোলাম জাকারিয়ার গণসংযোগ কার্যক্রমে লিফলেট বিতরণ গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহা সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে :জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ পোরশায় বাড়ি ভাংচুর ও চুরির অভিযোগ কুমিল্লায় ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার ঈদে মিলাদুন্নবী পালন না করে শিক্ষকদের নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণে শিক্ষা কর্মকর্তা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন না করে শিক্ষকদের নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণে শিক্ষা কর্মকর্তা

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার চাঞ্চল্যকর মা ও মেয়ের হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০ Time View

আল রোকন কুমিল্লা জিলা প্রতিনিধি

কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কালীয়াজুড়ি এলাকার আমিরুল ইসলাম রনির ভাড়া বাসায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২), তার ছোট মেয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী), বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম (৩৪), ছোট ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) প্রায় ০৪ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। গত ০৭.০৯.২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৫২) এর বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম রাত ১০:৪৫ ঘটিকায় বাসায় এসে দেখেন বাড়ির মূল দরজা সামান্য খোলা। তিনি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তার মা ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফতেমা (৫২) ও ছোট বোন ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) এর ঘরের লাইট বন্ধ দেখতে পান। তার মা ও বোন তাদের নিজস্ব রুমে শুয়ে আছে মনে করে তাদেরকে না ডেকে মোঃ তাজুল ইসলাম সামনের রুমে বসে থাকেন। অতঃপর ভিকটিমের ছোট ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩০) ঘন্টাখানেক পর বাসায় ফিরে খাবারের জন্য প্রথমে তার ছোট বোন ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি (২৩) কক্ষে গিয়ে ডাক দিলে কোন সাড়া-শব্দ না পেলে তার হাত ধরে ডাকলে বুঝতে পারেন তার শরীর ঠান্ডা। পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম তার মায়ের কাছে গিয়ে মাকে ডাকলে তার মায়ের কোন সাড়া-শব্দ না পেলে মায়ের পা ধরে ডাকলে তার শরীরও ঠান্ডা অনুভূত হয়। পরবর্তীতে মোঃ তাজুল ইসলাম মায়ের শরীরের উপরে থাকা বিছানার চাদর ধরে টান দিলে মায়ের মুখ ফুলা ও মুখ থেকে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে তার মা ও ছোট বোন মৃত। অতপর জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভিকটিমদ্বয়ের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করত: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মরদেহ ০২ (দুই) টি প্রেরণ করে।

ঘটনাস্থলে সিআইডি ও কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শন করে এবং সিআইডি আলামত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বাদী মোঃ তাজুল ইসলাম ( ফয়সাল (৩৪) এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩৬, তারিখ-০৮.০৯.২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-১০৯/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়।

এটি একটি আলোচিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার এর নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এর একটি চৌকশ টিম কাজ শুরু করে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল আসামী মোঃ মোবারক হোসেন (২৯) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, মাতা- খদিজা বেগম, সাং-কাবিলপুর (হাজী আব্দুল হাকিমের বাড়ি), থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা: বর্তমান ঠিকানা কাজী বাড়ি, বাগিচাগাঁও, কুসিককে গত ০৮.০৯.২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাওয়া প্রস্তুতিকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মোবারক হোসেন-কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মেয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে কথিত জ্বীনে ধরায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার মেয়েকে বাবুস সালাম জমিরিয়া মাদরাসা এর ইলিয়াস হুজুরের কাছে ঝাড়-ফুক করার জন্য যেতেন। সেখানে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন এর সাথে পরিচয় হলে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা আসামীকে তার বাসায় মেয়েকে এসে ঝাড়-ফুক দিতে বলেন। আসামী মোঃ মোবারক হোসেন কয়েকবার ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি-কে ঝাড়-ফুক করে আসে। আনুমানিক এক মাস যাবত আসামী ভিকটিমের বাসায় আসা-যাওয়া করত। ঘটনার দিন সকাল ০৮:৩০ ঘটিকায় আসামী মোঃ মোবারক হোসেন একটি কমলা রংয়ের শপিং ব্যাগ ও একটি কালো রংয়ের ব্যাগ নিয়ে ভিকটিমের বাসায় প্রবেশ করে। অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ঝাড়-ফুক করে বাসায় পানি ছিটায়। অনুমান ১১:২৩ ঘটিকায় বাসার বাহিরে যায় অতঃপর পুনরায় ১১:৩৪ ঘটিকায় ভিকটিমের বাসায় ফিরে দেখে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার রুমে শুয়ে আছেন। আসামী মোঃ মোবারক হোসেন সরাসরি ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর রুমে গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর মা তাহমিনা বেগম ফাতেমা দেখে ফেলেন এবং তিনি আসামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রথমে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ও তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরবর্তীতে আসামী মোবারক হোসেন ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা-কে তার রুমে নিয়ে গিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর রুমে প্রবেশ করে আবার ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি-কে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আসামী মোবারক ভিকটিমের বাড়িতে থাকা ০৪ (চারটি) মোবাইল ও ০১ (একটি) ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

আসামীর কাছে থেকে চোরাইকৃত ০৪ (চারটি) মোবাইল ও ০১ (একটি) ল্যাপটপ, মোবাইল ও ল্যাপটপের চার্জার উদ্ধার করে। এছাড়া আসামী ভিকটিমের বাসায় কমলা রংয়ের যে ব্যাগটি নিয়ে প্রবেশ করে তা আসামীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থান ও তার অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মত্মগোপনে ছিল। তবে তথ্য প্রযুক্তি, পুলিশের কৌশল, পেশাদারিত্ব ও অপরাধ দমনে দৃঢ় সংকল্পের কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামী মো: মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মাকে হত্যাকান্ডের মতো নৃশংস ঘটনায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 somoyermullo
Developed By : Bongosoft.org