
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ
বাংলাদেশ এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে, এমন মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত নয়। তার ভাষায়, এই দুটি দলই বিগত সময়ে একে অপরের সহযোগী হয়ে ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করেছে। 
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর একটি হোটেলে বিভাগীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি বলেন-“তারা (জাতীয় পার্টি)আবার ক্ষমতায় এলে দেশ ভারতের করদরাজ্যে পরিণত হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সরকারকে এখনই টেবিলেই শেষ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ সফলভাবে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি।
সারজিস আলম জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন করে ৩০০ আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি। দলীয় সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করে নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পরিকল্পনাও চলছে।
আগামীর বাংলাদেশে জনগণ কোনো বিদেশি আধিপত্যবাদ মেনে নেবে না উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী জাতীয় পার্টির আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক না দিয়ে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে ইসি স্পষ্ট স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। তবে দলটি নতুন প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন একই ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ অব্যাহত রাখে, তাহলে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমে যাবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে সারজিস আলম বলেন, ইসি যদি আবারও কোনো দলীয় কমিশনে পরিণত হয়, তাহলে তাদের পরিণতিও হবে আগের কমিশনগুলোর মতোই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি ময়মনসিংহের অন্যতম সংগঠক মো: ইকরাম এলাহী খান সাজ, এড. এ.টি.এম মাহবুব উল আলম, মাহমুদুল হাসান সোহেল, মো: মোজাম্মেল হক, মোকাররম আদনান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগরে আহবায়ক ওলি উল্লাহ, মেহেদী হাসান সিয়ামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।