নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দিবসটি যথাযথভাবে
সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালনের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে প্রায়
৪০ জন শিক্ষক নিয়ে ওইদিন কুয়াকাটায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন মান্দা উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা। ভ্রমণে যাওয়ার কারণে মুসলিম শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় হিন্দু শিক্ষকদের দিয়ে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দিবস পালনের অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস হিসেবে সরকারি কর্মসূচি পালন ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন করার নির্দেশনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা আবুল বাসার শামসুজ্জামান তার অনুগত উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে মেতে ছিলেন কুয়াকাটায়।
জানা গেছে, মান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার শামসুজ্জামান ওইসব শিক্ষকদের
নিয়ে গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হন। অথচ পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর
(শনিবার) ছিল ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারি
দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ‘সমুদ্র বিলাস’ ও আনন্দ ভ্রমণে অংশ নেয়ায় মান্দা উপজেলার শিক্ষক
সমাজসহ সচেতন নাগরিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিভাগীয় তদন্ত
সাপেক্ষে দ্রæত ওই কর্মকর্তার বদলি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, “সরকারি দায়িত্বে থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন
কর্মকাÐ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঈদে মিলাদুন্নবীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে তিনি
কোথায় থাকবেন, সেটা তার জানা উচিত ছিল।” এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার
শামসুজ্জামান মোবাইল এ কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক
শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত
সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#