
এম এইচ কামাল:
“বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :
“বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের দরিদ্র নারী মুকুলী বেগম তার সাত সদস্যের পরিবারটিকে টিকিয়ে রেখেছেন ভিক্ষার ওপর নির্ভর করে। সাত সদস্যের এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই। এক মাস বয়সের শিশু সন্তানকে কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন ভোরে তিনি বের হন ভিক্ষার ঝুলি হাতে, ফিরেন সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীরে। একটি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন ওই নারী ও তাঁর পরিবার। তার পরিবারের এমন দুরঅবস্থা নিয়ে
বাকেরগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করায় ‘অসহায় মুকুলী বেগমের ভিক্ষায় চলে ৭ সদস্যের সংসার, ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন শিরোনামে জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন।
ওই প্রকাশিত সংবাদ বাকেরগঞ্জ পৌর প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজের নজরে আসলে আজ ১৮ অক্টোবর সকাল ১১ টায় অসহায় মুকুলী বেগমের বাড়িতে আসেন ইউএনও।
এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রুমানা আফরোজ মুকুলী বেগমের পরিবারের হাতে উপহার হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন ও আগামী ১০ দিনের মধ্যে অসহায় মুকুলী বেগমের পরিবারের জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন।
এছাড়াও, মুকুলী বেগমের স্বামী আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন অসুস্থ, চিকিৎসার অভাবে শয্যাশায়ী। যে কারণে তাদের সংসার চলে আসছে ভিক্ষায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কোন সহায়তাও পাইনি। এ কারণে আজ ইউএনও তাদের সরকারি সহায়তা হিসেবে টিসিবি কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
মুকুলী বেগমের বাড়িতে সহায়তা প্রদানের জন্য ইউএনও আসায় এই পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর প্রশাসক রুমানা আফরোজ জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয়া হবে। এবং পৌর প্রশাসক হিসেবে সরকারি যতটুকু সহায়তা প্রদান করা যায় তা আমি এই পরিবারের পাশে থেকে সহায়তা প্রদান করবো বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।