আলি হোসেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক প্রতিবন্ধী নারী। অভিযুক্ত বাবা মোশাররফ হোসেন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাবা ও আপন দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে ওই নারীর জমি দখল ও মারধর-হুমকির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসব অভিযোগ তুলে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বাতেন খাঁর মোড়ের একটি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
প্রতিবন্ধী নারী বিলকিস আক্তার সোনিয়া দাবি করেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় জন্মের পর থেকেই আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করেন বাবা। এমনকি আমার নামে থাকা সম্পত্তি দখল করতে কয়েক দফায় মারধর ও হামলা করেন বাবা ও দুলাভাই। এমনকি আমার জমি ও মার্কেটে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও জোরপূর্বক সেখানে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়াও একমাত্র মেয়েকেও ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ওই প্রতিবন্ধী নারী।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী। আমি শুধু চাই শান্তি, নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে বাঁচতে। আমার জীবনের প্রতিটি ঘটনা শৈশবের তালাবদ্ধতা, বাবার বুট চাপানো, বেতের আঘাত, একমাত্র মেয়েকে ছিনতাই, বাড়ি থেকে বিতাড়ন ও প্রকাশ্য হামলায় আমি ক্ষত-বিক্ষত। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বাবা ও দুলাভাই। সংবাদ সম্মেলনে বাবার শারীরিক নির্যাতনের ও হত্যাচেষ্টার কারনে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান প্রতিবন্ধী নারী বিলকিস আক্তার সোনিয়া। সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী একে আজাদসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে অভিযুক্ত বাবা মোশাররফ হোসেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, মেয়েকে কোন জমিজমা দেয়নি। জোর করে জমি দখল করতে চাই। এনিয়ে কয়েকবার ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হলেও মারামারি হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, মার্কেট নিয়ে একটা মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মোশাররফ হোসেনের চলমান মার্কেট নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়। এনিয়ে মামলা বা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।